নগদ একাউন্ট নিবন্ধনের জন্য গ্রাহকের জন্য কিছু শর্ত রয়েছে। আমাদের উচিত শর্ত গুলি জেনে নেওয়া । কি কি ক্ষেত্রে এই একাউন্ট ব্যাবহার করা যাবে এবং কি কি ক্ষেত্রে বীবহার করতে পারবেন না। মুলত এই বিষয় গুলি এই পোস্ট এ তুলে ধরা হয়েছে।
নগদ এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শর্তাবলি
১। থার্ড ওয়েভ টেকনোলজিস লিমিটেড-এর ‘নগদ’ নামে উল্লিখিত ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (নগদ সেবা) গ্রহণকারী ‘নগদ’ গ্রাহক নামে পরিচিত হবেন এবং একমাত্র এই গ্রাহকই ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস একাউন্টটির (নগদ একাউন্ট) ব্যবহারকারী হবেন।
২। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক জারিকৃত ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস সরবরাহের জন্য প্রযোজ্য বিধি-বিধান, নীতিমালা, সার্কুলার এবং আদেশ/নির্দেশ অনুযায়ী ‘নগদ’ সেবা এবং ‘নগদ’ একাউন্ট-এর লেনদেন/কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ‘নগদ’ গ্রাহক এই নীতিমালা মেনে চলতে বাধ্য থাকবেন।
৩। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ‘নগদ’ একাউন্ট নাম্বারটি ‘নগদ’ সম্পর্কিত সব রকম দলিলে সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হবে। ভুল নাম্বার উল্লেখ করার কারণে কোন রকম ক্ষয়ক্ষতির জন্য ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।
৪। ‘নগদ’ একাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালেন্সের অভাবে লেনদেন সম্পন্ন না হলে তার জন্য ‘নগদ’ দায়ী থাকবে না এবং এ সংক্রান্ত চার্জ নিয়ম অনুযায়ী গ্রাহককে বহন করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
৫। ‘নগদ’ গ্রাহক কাউন্টার ত্যাগ করার পূর্বে তার ‘নগদ’ একাউন্ট থেকে যথাযথ পরিমাণ ক্যাশ ইন/ ক্যাশ আউট/ পেমেন্ট ইত্যাদি সম্পন্ন হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন। পরবর্তীতে কোন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না। গ্রাহক একাউন্ট থেকে ‘নগদ’ প্রয়োজন অনুসারে কার্ড সম্পর্কিত ফি এবং চার্জ কেটে নিতে পারে। কোম্পানির নিয়মানুযায়ী কার্ডের ব্যবহার ও কার্ড ব্যবহারের খরচ পরিবর্তন হতে পারে।
৬। ‘নগদ’ গ্রাহক/ নগদ সেবা ব্যবহার করে প্রতিটি লেনদেনের পূর্বে প্রাপকের যথার্থতা নিশ্চিত করবেন। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ‘নগদ’ একাউন্ট নাম্বার, টাকার পরিমাণ, গোপন নাম্বার এবং লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য দেয়ার সময় সতর্ক থাকবেন। লেনদেন করার সময় কোনরকম ভুল তথ্য বা নির্দেশনা প্রদান করলে বা কোন প্রকার প্রলোভন, মিথ্যা উপস্থাপনা বা প্রতারণার শিকার হয়ে কোন লেনদেন করলে, এর জন্য একমাত্র গ্রাহকই ব্যক্তিগতভাবে এবং এককভাবে দায়ী থাকবেন। ‘নগদ’ কোনভাবেই এই লেনদেনকৃত অর্থ ফেরত প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ কিংবা বহন করবে না।
৭। ‘নগদ’ সেবা সংশ্লিষ্ট সকল প্রকার মূল্য ও ব্যয় (বৈধ মূসকসহ) এবং নিয়মানুযায়ী সকল সেবা মূল্য এবং/ অথবা রক্ষণাবেক্ষণ খরচ সময়ে সময়ে নির্ধারণ, পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সমন্বয়ের ক্ষমতা ‘নগদ’ সংরক্ষণ করে এবং এই সকল খরচ ‘নগদ’ একাউন্ট থেকে কেটে নেয়া হবে।
৮। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২, সন্ত্রাস বিরোধী আইন-২০০৯, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত সার্কুলার/নীতিমালা অনুযায়ী ‘নগদ’ গ্রাহক, ‘নগদ’-এর চাহিদা মোতাবেক যেকোন তথ্য ‘নগদ’ -কে প্রদান করতে বাধ্য থাকবেন।
৯। ‘নগদ’ গ্রাহকের একাউন্ট ও লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের ক্ষেত্রে ‘নগদ’ সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রাখবে। তবে নিম্নলিখিত যেকোন ক্ষেত্রে ‘নগদ’ গ্রাহক সম্পর্কিত যেকোন তথ্য প্রকাশ/প্রদান করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে-
- ‘নগদ’-এর উপরে এখতিয়ারপ্রাপ্ত নিয়ন্ত্রণকারী, তত্ত্বাবধানকারী অথবা সরকারি কোন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনে
- আদালতের আদেশ অথবা আইন অনুযায়ী অনুমোদিত কোন ব্যক্তির প্রয়োজনে
- ‘নগদ’-এর বিভিন্ন অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যেকোন ব্যক্তির প্রয়োজনে
- ‘নগদ’-এর বিভিন্ন অনুমোদিত কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে যেকোন সেবা প্রদানকারী অথবা আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নিকট
১০। ‘নগদ’ গ্রাহক, তার ‘নগদ’ একাউন্ট-এর গোপন নাম্বার (PIN) কখনই কারো কাছে প্রকাশ করবেন না এবং এর সর্বোচ্চ গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে ও এককভাবে দায়ী থাকবেন। গোপন নাম্বারের গোপনীয়তা ভঙ্গ বা অপব্যবহারের আশঙ্কা দেখা দিলে অবিলম্বে তা পরিবর্তন করে ফেলবেন। ‘নগদ’ গ্রাহক কর্তৃক অবহেলা, অসতর্কতা, ভুল বা গোপন নাম্বারের কোন প্রকার অপব্যবহারের কারণে ‘নগদ’ গ্রাহক কোনভাবে প্রতারিত এবং/অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ‘নগদ’ কোনভাবেই দায়ী থাকবে না। মোবাইল ফোন বা সিম হারিয়ে গেলে ‘নগদ’ গ্রাহক তাৎক্ষণিকভাবে ‘নগদ’ হেল্পলাইনে (16167) ফোন করে ‘নগদ’ একাউন্ট বন্ধ করে দেবেন এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য ‘নগদ’-এর সাথে যোগাযোগ করবেন। ‘নগদ’ কার্ড (স্ক্র্যাচ কার্ড, পোস্টাল ক্যাশ কার্ড, ভার্চুয়াল কার্ড ইত্যাদি) হারানো সম্পর্কে অবহিত করার পূর্বে কোন অননুমোদিত লেনদেনের জন্য ‘নগদ’ দায়ী থাকবে না।
আরো পড়ুনঃ