(১০০% নির্ভুল) দশম (১০ম) শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ (২য় সপ্তাহ)
|

(১০০% নির্ভুল) দশম (১০ম) শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

১০ম (দশম) শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ২য় সপ্তাহ প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি ১০ম (দশম) শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ সন্ধান করছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। Class 9 Bangladesh & Global Studies assignment answer 2022 2nd week.

১০ম শ্রেণি অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সকল বিষয়ের এসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান। দশম (১০ম) শ্রেণী বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২। আপনাদের সবার জন্য দশম শ্রেণী বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান দেওয়া হয়েছে আজকের এই পোস্টে।

সবার সুবিধার্থে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট এখানে দেওয়া হয়েছে। দশম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান ২০২২ সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই দশম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান উত্তর পাবেন আমাদের পোস্টে। যারা দশম শ্রেণীতে পড়েন তাদের জন্য ১০ম শ্রেণি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান অনেক প্রয়োজনীয়।

১০ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন

বিভিন্ন সপ্তাহে ১০ম শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই ১০ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।

১০ম শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। এবং অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। তাই আপনাদের জন্য ১০ম শ্রেণীর দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এখানে দেওয়া হয়েছে।

সাইনমেন্ট শিরোনামঃ

 বিভিন্ন প্রকার তন্তু ও এর ব্যবহার

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করতে এইখানে ক্লিক করে স্টার বাটন প্রেস করুন।

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

  • প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম তন্তু ও বস্ত্রের উৎস, বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহার বর্ণনা করতে পারবে,
  • তন্তু হতে সুতা তৈরির প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে পারবে,
  • বিভিন্ন প্রকার তন্তুর বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করতে পারবে,
  • রাবার প্লাস্টিকের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্ম ব্যাখ্যা করতে পারবে,
আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্র প্রশ্ন কুমিল্লা বোর্ড ২০২১

নির্দেশনা :  

  • কাপড় তৈরির জন্য প্রয়ােজনীয়  ১০টি তন্তুর তালিকা তৈরি করে শ্রেণিবিন্যাস করণ ,
  • উদাহরণসহ তন্তু থেকে সুতা তৈরির ধাপ,
  •  রেশম তন্তু থেকে সুতা তৈরির প্রবাহচিত্র অংকন,
  • পরিবেশের ভারসাম্যহীনতায় রাবার ও প্লাস্টিকের ভূমিকা

কাপড় তৈরির জন্য প্রয়ােজনীয় ১০টি তন্তুর তালিকা তৈরি করে শ্রেণিবিন্যাস করণ ,

উদাহরণসহ তন্তু থেকে সুতা তৈরির ধাপ,

 রেশম তন্তু থেকে সুতা তৈরির প্রবাহচিত্র অংকন,

রেশম কীট বা রেশম পোকার জীবন চক্র চারটি পর্যায়ে ঘটে থাকে। এগুলো হলোঃ

ডিম
 শূককীট
 মুক-কীট
 পূর্ণাঙ্গ পোকা।

প্রথম পর্যায়ঃ স্ত্রী পোকা পাতা বা কাগজের উপর ডিম পাড়ে। এরা একসাথে প্রায় ৪০০-৫০০ ডিম পাড়ে। ডিম  গুলো দেখতে ফ্যাকাসে হলুদের মত। ডিমগুলো দেখতে অনেকটা ইংরেজি C  এর মত। ডিমগুলো ৭৮ – ৮৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় উত্তপ্ত হতে খাকে। ১০-১৪ দিন পর ডিম থেকে শূককীট উৎপন্ন হয়।

দ্বিতীয় পর্যায়ঃ শূককীট বড় হলে বাদামী লাল রঙের দেখায়। শূককীট চতুর্থবার খোলস বদলানোর পর মূককীটে পরিণত হতে শুরু করে। এ সময় এদের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়। শূককীট, মূককীটকে যে বাঁশের ডালায় গালা হয় তার নাম চন্দ্রকী। চন্দ্রকীতে অনেক গুলি কুঠুরি থাকে।

তৃতীয় পর্যায়ঃ শূককীট দেহের ভিতরে একটি লম্বা রেশম গ্রন্থি থাকে। গ্রন্থিতে থাকে এক প্রকার রস। নালী দিয়ে এ রস মুখের বাইরে আসে। নালীর নাম স্পিনারেট (Spinneret)। বাতাসের সংস্পর্শে রস শক্ত হয়ে যায়। মূককীট মিনিটে ৬৫ বার মুখ ঘুরিয়ে রস দিয়ে দেহের চারপাশে আবরণ তৈরি করে। এই রসকে সাধারণ কথায় মুখের লালা বলে। আবরণসহ মূককীটকে গুটি বলে। গুটির ইংরেজি নাম কুকুন (Cocoon)। গুটির মধ্যে মুককীটের অদ্ভুত রূপান্তর ঘটে। এই পরিবর্তনকে মেটামরফসিস (Metamorphosis) বলে। মূককীট পরিবর্তিত হয়ে সুন্দর মথের রূপ ধারণ করে। মথই রেশম পোকার পূর্ণাঙ্গ অবস্থা।

চতুর্থ পর্যায়ঃ মথ হবার আগেই গুটিকে বাষ্প বা গরম জলে রাখতে হয়। না হলে মথ গুটি কেটে বেরিয়ে যায়। গুটি কেটে গেলে সুতা নষ্ট হয়ে যায়। গুটি গরম পানিতে পড়লে এর সুতোর জট খুলে যায়। একটি গুটিতে ৪০০–৫০০ গজ সুতা থাকে।

আরো পড়ুনঃ  এসএসসি রেজাল্ট ২০২২ ঢাকা বোর্ড | SSC Result 2022

রেশমগুটি থেকে রেশম সুতা সংগ্রহ


রেশম উৎপাদন একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। রেশমগুটি থেকে রেশম তৈরি করা হয়। রেশমগুটি আসলে রেশম মথের শুঁয়াপোকা; এদের একমাত্র খাদ্য তুঁতপাতা। রেশমকীট ডিম থেকে জন্মায় এবং গুটিতে রূপান্তরিত হওয়ার পর্যায় শেষ করে তারা রেশম মথ হিসেবে আবির্ভূত হয়। স্ত্রী মথ তখন কালচক্র পুনরায় শুরু করার জন্য ডিম পাড়ে। গুটিবদ্ধ অবস্থায় রেশম পিউপা বা কীটগুলিকে মেরে ফেলে সেগুলিকে সেদ্ধ করে সুতা ছাড়ানো হয় এবং পরে তা গোটানো হয়। এর এই সুতা বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র তৈরির জন্য নানাভাবে প্রস্তুত করা হয়। শূককীট দশা শেষ করে রেশম পোকা তার খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে, দেহ নিঃসৃত লালা দিয়ে দেহকে আবৃত করে ফেলে এবং একটি ডিম্বাকৃতির গুটিতে পরিণত হয়। রেশম চাষীরা এই গুটি গরম পানিতে চুবিয়ে রেশমপোকা মেরে ফেলে। একই সাথে গরম পানির সংস্পর্শে গুটি নরম হয়ে আলগা হয়ে যায়। এই সময় চাষীরা যত্নের সাথে কাঠি দিয়ে রেশম সুতার একটি প্রান্ত বের করে আনে। এই প্রান্ত ধরে ধীরে ধীরে টেনে টেনে দীর্ঘ সুতা বের করে আনা হয়। এই সুতাকেই রেশম সুতা বলা হয়।

রেশম সংরক্ষণঃ পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী ও পুরুষ মথ কোকুন থেকে বের হওয়ার পর পরই এরা প্রজনন করে। একটি পুরুষ মথ একদিনে ২-৩টি স্ত্রী মথের সাথে প্রজনন করে। প্রজননের পর স্ত্রী মথকে ছেড়ে দেয়ার অল্প সময় পরেই স্ত্রী মথ ডিম পাড়ে। একটি পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী মথ ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৬৫০টি ডিম পাড়ে। এই ডিম ফুটিয়ে আবার রেশম চাষ করা যায়।

রেশমের রোগ ও পোকাঃ রেশমে কটারোগ, কালোশিরা, রসা, চুনা কাঠি ও স্বল্পরোগ হয়। উজি মাছি খুব ক্ষতিকর। এই পোকা ঘরে প্রবেশের সাথে সাথে মেরে ফেলতে হবে। রোগ ও পোকা দমনের জন্য সঠিক তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বজায় রাখা এবং সবকিছু শোধন করে কাজ করা।

আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র প্রশ্ন যশোর বোর্ড ২০২১

পরিবেশের ভারসাম্যহীনতায় রাবার ও প্লাস্টিকের ভূমিকা

প্রযুত্তির উন্নতি ও জীবন যাত্রার মানের আধুনিকায়নের ফলে আমাদের জীবনের অপরিহার্য এক উপাদান হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লাস্টিক। প্রতিনিয়ত আমরা ব্যবহার করছি প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের বোতলে পানি খাওয়া, প্লাস্টিকের প্লেটে খাবার খাওয়া, প্লাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহার করা। এছাড়াও প্রতিনিয়ত আমরা অবহেলায় রাস্তা ঘাটে , যেখানে সেখানে নিক্ষেপ করছি চিপস বা বিভিন্ন রকমের খাবারের প্যাকেট, বোতল, পলিথিন, বিভিন্ন রকম পণ্যের মোড়ক।

এসব ফেলে দেয়া প্লাস্টিকের একটি অংশের গন্তব্য হচ্ছে সমুদ্রে। এভাবে আমরা নিজেদের কি পরিমাণ বিপর্যয় যে ডেকে আনছি তা হয়ত আমরা নিজেরাও জানি না। চলুন আজ জেনে নেয়া যাক কিভাবে এই প্লাস্টিক আমাদের মানবদেহের , সামুদ্রিক প্রাণীদের তথা সমগ্র পৃথিবীর ক্ষতি করছে।

প্রথমেই আসি মানবদেহের ব্যপারে। প্লাস্টিকে এমন সব ক্ষতিকর উপাদান থাকে যা মানুষের শরীরের জন্য চরম ক্ষতিকারক। তাদের মধ্যে অন্যতম কিছু উপাদানের নাম ও প্রতিক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলঃ

১। স্টাইরিনঃ প্লাস্টিকের প্যাকেজিং, ডিসপোজেবল কাপ (ওয়ানটাইম কাপ) ও রাবার কনটেইনারে ব্যবহৃত স্টাইরিন নামক রাসায়নিক পদার্থটি মানব দেহে গেলে এক সময় তা থেকে ক্যান্সার ও লিউকেমিয়া হতে পারে। ডেইলি মেইল অন লাইনে গত ৩১ মে একটি গবেষণার সারসংক্ষেপ প্রকাশ করা হয়েছে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, মানুষ স্টাইরিনের ছোঁয়ায় আসে পরিবেশ থেকে। আবার প্রিন্টার, ফটোকপিয়ারের সাথে যারা কাজ করে এবং সিগারেট পান করে তারাও স্টাইরিনের ক্ষতিকর প্রভাবে প্রভাবিত। গবেষণাটি হয়েছে ডেনমার্কে।

২। পলিভিনাইল ক্লোরাইডঃ টেবিল ক্লথ, বেডিং এর কভার, মাংসের র‍্যাপার ইত্যাদিতে এ উপাদানটি থাকে। এতে শিশুদের হাঁপানি হতে পারে। তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে পারে। মহিলাদের বন্ধ্যত্ব দেখা দিতে পারে।

৩। বিসাফেনলঃ অধিকাংশ প্লাস্টিক বোতলে এ যৌগটি থাকে । অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্য এটি মারাত্মক ক্ষতিকারক। । অন্তঃসত্ত্বা মহিলার শরীরে এটি ঢুকলে শিশুর ওজন হ্রাসের সম্ভাবনা থাকে । শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে। শিশুর মহিষ্কের বিকাশ রোধ করে।

আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি ভূগোল ১ম প্রশ্ন সমাধান ঢাকা বোর্ড ২০২২ [১০০% নির্ভুল সমাধান]

৪। হাই ডেনসিটি পলিইথিলিনঃ পলিপ্যাক, প্রসাধানীর কনটেইনার, দুধের বোতলে এ উপাদানের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এতে স্ত্রী হরমোনের নিঃসরণ ও লক্ষণ বেড়ে যায়। হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শিশুশরীরে কোষের গঠন বদলে দেয়।

৫। পলিইথিলিন টেরেফটালেটঃ প্লাস্টিক বোতলে এটি বেশি থাকে। এর থেকে অ্যান্টিমনি নিঃসৃত হয়। এটি স্ত্রী হরমোনের পরিমাণ ও লক্ষণ বাড়ায়। পুরুষ হরমোন নিঃসরণ কমায়। এছাড়াও পেটের অসুখ ও পাকস্থলীতে ক্ষত সৃষ্টি করতে এটি বিরাট ভূমিকা রাখে।এতো গেলো শুধুমাত্র মানুষের শরীরের ক্ষেত্রে । সামুদ্রিক প্রাণীদের জীবন আশংকায় প্লাস্টিক যে কত বড় ভূমিকা রাখছে তা হয়ত বলে বোঝানো সম্ভব না। প্রায় সাত বিলিয়ন মানুষের ব্যাবহার করা প্লাস্টিকের অনেকাংশেরই শেষ গন্তব্য হল সমুদ্র।

এক তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সাল নাগাত পৃথিবীতে মোট তৈরি করা প্লাস্টিকের পরিমাণ হল ৬.৩ বিলিয়ন। কিন্তু সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল এর মাঝে মাত্র ৯ শতাংশকে পুনরায় ব্যাবহার উপযোগী করা হয়েছে, ১২ শতাংশকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং বাকি ৭৯ শতাংশই পৃথিবীতে জমা থেকে গেছে ।

সামুদ্রিক প্রাণীর একটি বড় অংশ সাধারণত খাদ্যের জন্য সমুদ্রে ভাসমান ক্ষুদ্র প্রাণিকণা (জুপ্ল্যাঙ্কটন) এবং উদ্ভিদকণার (ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন) উপর নির্ভরশীল। গবেষণা অনুযায়ী দেখা যায়, সমুদ্রে এক পাউন্ড প্ল্যাঙ্কটনের (যেগুলো মাছসহ অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণীর খাদ্য) বিপরীতে ছয় পাউন্ড প্লাস্টিক বর্জ্য বিদ্যমান! আর এসব প্লাস্টিকের কারণে পানিতে জুপ্ল্যাঙ্কটন ও ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন উৎপাদনের পরিমাণ ক্রমশ কমছে।

অন্যান্য দ্রব্য যেমন কিছুদিনের মাঝেই পচন ধরে কিন্তু প্লাস্টিকের বেলায় তা ব্যতিক্রম। অণুজীব এদের সহজে পচাতে পারে না। ফলে বছরের পর বছর ধরে এরা সমুদ্রের পানিতে অবিকৃত অবস্থায় জমা হতে থাকে। তবে না পচলেও বিভিন্ন রকম প্রাকৃতিক কারণে এদের আকৃতি ক্রমশ ছোট হতে থাকে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র এসব প্লাস্টিককে বলা হয় মাইক্রোপ্লাস্টিক । আর এরাই ক্ষতিটা করে সবচেয়ে বেশি।

আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সকল বোর্ড ২০২৩ [১০০% নির্ভুল সমাধান]

প্ল্যাঙ্কটন সাইজের এই প্লাস্টিককণাকে সামুদ্রিক মাছেরা খাদ্য মনে করে ভুল করে ফেলে। খাদ্যের সাথে এই মাইক্রোপ্লাস্টিক কণিকা গুলো সামুদ্রিক প্রাণীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এর ফলে পরিপাক ও প্রজননের মত গুরুত্বপূর্ণকাজ বাঁধাগ্রস্ত হয়ে যায়। ফলে প্রাণীটি ধীরে ধীরে মারা যেতে থাকে । শুধু মাছই না। পাখিরা এবং অন্য সব সামুদ্রিক প্রাণীরাও এর বাইরে না। গবেষকরা প্রমাণ পেয়েছেন সামুদ্রিক কাছিমদের বেশিরভাগই প্লাস্টিক ব্যাগ এবং জেলিফিশের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। ফলে তারা প্লাস্টিককে খাদ্য মনে করে খেয়ে ফেলে।

এছাড়াও সামুদ্রিক পাখিরাও শিকার হচ্ছে একই রকম বিপদের। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে সমুদ্রে বিচরণকারী কোন কোন পাখির পাকস্থলীর ৮০% জায়গা প্লাস্টিক বর্জ্যে দখল করতে পারে বা করে থাকে! এগুলো হজম হয় না, যার ফলে আস্তে আস্তে পাখীগুলো না খেতে পেরে করুণভাবে মৃত্যুর মুখে পতিত হয়। তবে এর মধ্য এলবাট্রোস এর মত বড় পাখিদের অবস্থা হল সবচেয়ে ভয়ানক। সমুদ্র এলাকায় থাকা এই সব পাখিদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে। এদের মৃতদেহ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এই পাখিদের একটি বড় অংশ প্লাস্টিক দূষণের শিকার। প্লাস্টিক যেভাবে ভয়ানকভাবে ক্ষতি করছে প্রাণিজগতের তা বলে শেষ করা যাবে না।

বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার সারগো আইটি-এর নয়।

আমাদের কাজের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি দেখা গেলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। প্রতি সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের কাছ থেকে ন্যূনতম সাহায্য পেয়ে থাকলে আপনাদের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে ওয়েবসাইটটিকে ফেসবুকে শেয়ার দিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্র প্রশ্ন ঢাকা বোর্ড ২০২১

দশম শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বিজ্ঞান ২০২২, দশম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বিজ্ঞান ২০২২,
দশম শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বিজ্ঞান ২য় সপ্তাহ, দশম শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বিজ্ঞান ,

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *