(১০০% নির্ভুল) ৭ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ তৃতীয় (৩য় সপ্তাহ) সমাধান
| |

৭ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ তৃতীয় (৩য় সপ্তাহ) সমাধান (১০০% নির্ভুল)


(১০০% নির্ভুল) ৭ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ তৃতীয় (৩য় সপ্তাহ) সমাধান। আপনি কি ৭ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের সমাধান খুঁজছেন? তবে আমি বলব যে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আপনাদের প্রথম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে।

সুতরাং এখনই আপনাদের এসাইনমেন্ট তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। ৭ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট সমাধান ও সপ্তম শ্রেণির গনিত এসাইনমেন্ট দেখুন। ৭ম শ্রেণির সাধারন গনিত এসাইনমেন্ট সমাধান ডাউনলোড করুন। ৭ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ দেখে নিন। ৭ম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলা ২০২২ দেখুন।

সপ্তম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন

বিভিন্ন সপ্তাহে সপ্তম শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন সপ্তম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই সপ্তম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।

এই ওয়েব সাইটের অ্যাসাইনমেন্ট সমূহ অভিজ্ঞদের দ্বারা তৈরি করা। কেউ যদি এখান হতে কন্টেন্ট কপি করে অন্য কোথাও প্রকাশ করেন তাহলে গুগল কপিরাইট নিয়ম অনুসারে DMCA লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়া হবে।

৭ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ২০২২ (৩য় সপ্তাহ)

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। এবং অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। তাই আপনাদের জন্য সপ্তম শ্রেণীর প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলা এখানে দেওয়া হয়েছে।

৭ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন

বিভিন্ন সপ্তাহে ৭ম শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন ৭ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই ৭ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।

আরো পড়ুনঃ  (১০০% নির্ভুল) ৭ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ (১ম সপ্তাহ) সমাধান

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করতে এইখানে ক্লিক করে স্টার বাটন প্রেস করুন।

বাংলা এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ৩য় সপ্তাহঃ 

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ 

ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিচয়

৭ম শ্রেনি ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

৭ম শ্রেনি ৩য় সপ্তাহের বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এখান থেকে শুরু

ক্ষুদ্র জাতিসত্তার ধারণা

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী একটি স্বতন্ত্র নরবংশ বা নরগোষ্ঠী। এরা সংখ্যায় এরা ক্ষুদ্রও হতে পরে আবার বড়ও হতে পারে। নৃেেগাষ্ঠী বলতে এমন একটি জনসমষ্টিকে বুঝায় যারা একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সংগঠিতভাবে বসবাস করে, যাদের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃিত রয়েছে যা অন্য জাতিগোষ্ঠী থেকে পৃথক।

নৃগোষ্ঠী বলতে এমন একটি সম্প্রদায়কে বোঝায় যারা কোনো নির্দিষ্ট এলাকায় বসবাস করে, যাদের স্বকীয় ভাষা, জীবনধারা এবং সাংস্কৃিতক ঐতিহ্য রয়েছে। একটি নৃগোষ্ঠী অন্য নৃগোষ্ঠী থেকে স্বতন্ত্র এবং তারা তাদের স্বতন্ত্র পরিচয় সম্পর্কে সচেতন।

“সাংস্কৃতিক উৎসব” বলতে কি বোঝায় লিখতে হবে

মানুষ সামাজিক জীব এবং মানুষ মাত্রই সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। বাংলাদশের মানুষও এই চিরাচরিত নিয়মের ব্যতিক্রম নয়। সমাজে একে অন্যের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা ভাগাভাগি করতে গিয়ে মানুষ আয়োজন করে বিভিন্ন উৎসবের। নানা ধরণের সামাজিক উৎসব এখন বাংলাদেশের মানুষের নিত্য সঙ্গী। রূপবৈচিত্র্যে ভরপুর সৌন্দর্যের লীলাভূমি এদেশকে আরো বেশি প্রাণবন্ত করে রেখেছে বাঙালিদের এসব সামাজিক উৎসব।

বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার পরিচয়

বাংলাদেশের প্রধান নরগোষ্ঠী বাঙালি। তবে আবহমান কাল থেকে এখানে অনেকগুলো ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বসবাস করছে। বাংলাদেশে এখন প্রায় ৫৭ টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী রয়েছে। তবে ২০১১ সালের আদমশুমারিতে দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে ২৭টি। এ শুমারি অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার ১.১৩ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত। দেশে মোট ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনসংখ্যা হচ্ছে ১৫,৪৮,১৪১ জন। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা ভিন্ন ভিন্ন হবার কারনে তাদের সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

চাকমা

→ বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বাস করে – চাকমা উপজাতি
→ ধর্ম বৌদ্ধ
→ শিক্ষার হার সব থেকে বেশি
→ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানকে বলা হয় বিজু
→ ফাল্গুনী পূর্ণিমা এদের ধর্মীয় উৎসব
→ চাকমা বিদ্রোহের নায়ক জুম্মা খান
→ এদের গ্রামকে বলা হয় আদম।
→ চাকমা ভাষায় লিখিত প্রথম উপন্যাস ফাবো (২০০৪)
→ প্রধান ধর্মীয়গ্রন্থ ত্রিপিটক

আরো পড়ুনঃ  এসএসসি জীববিজ্ঞান প্রশ্ন সমাধান যশোর বোর্ড ২০২২ [১০০% নির্ভুল সমাধান]

মারমাঃ
→ মারমা বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই
→ একমাত্র খেতাব প্রাপ্ত উপজাতি – ইউ কে সিং মারমা
→ খেতাব – বীর বিক্রম
→ ৬ নং সেক্টর
→ চিম্বুক পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস মারমা
→ মগ নামে পরিচিত ছিল, আদি নিবাস আরাকান
→ এর জাতিতে মঙ্গলীয়

রাখাইনঃ
→ রাখাইন বড় ধর্মীয় উৎসব – বুদ্ধপূর্ণিমা
→ বর্ষবরণ উৎসবের নাম সান্দ্রে
→ বসবাস পটুয়াখালী জেলায়
→ মগের বংশধর, যারা সমতলে থাকে
→ আদি নিবাস আরাকান
→ উৎসবের নাম মুৎসলোং

মুরংঃ
→ মুরংদের দেবতার নাম ওরেং
→ মুরং উপজাতির বর্ষবরণ উৎসবের নাম ছিয়াছত
→ পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রাচীন অধিবাসী মুরং বা ম্রো

ত্রিপুরাঃ
→ ত্রিপুরা বর্ষবরণ উৎসবের নাম – বৈসুক
→ ত্রিপুরা আদিবাসী গোষ্ঠী সনাতন ধর্মবিশ্বাসের

গারোঃ
→ গারোদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নাম ওয়ানগালা
→ বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি

খাসিয়াঃ
→ খাসিয়া গ্রামগুলো পুঞ্জি নামে পরিচিত
সাওতালঃ
→ বাংলাদেশে দ্বিতীয় বসবাসরত বেশি উপজাতি- সাওতাল
→ সাওতাল বিদ্রোহের নায়ক দুই ভাই কানু আর সাদু
→ সাওতাল বিদ্রোহ সংগঠিত হয় ১৮৫৫ সালে
→ একমাত্র জড় উপাসক উপজাতি সাঁওতাল

ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক উৎসবের বিবরন

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীরা ভিন্ন ভিন্ন হবার কারনে তাদের উৎসব ও ভিন্ন ভিন্ন। নিম্নে প্রধান প্রধান উৎসব গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো

বৈসাবি উৎসব

ত্রিপুরা ও তঞ্চঙ্গ্যাদের ‘বৈসুক’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ আর চাকমাদের ‘বিজু’ – এই তিন উৎসবের নামের প্রথম অক্ষর থেকে ‘বৈসাবি’ উৎসবের নাম এসেছে৷ তিনটিই বর্ষবরণের অনুষ্ঠান৷ ফলে পার্বত্য এলাকার আদিবাসীরা সবাই মিলে বৈসাবি উৎসবে অংশ নেয়ার মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানায়৷ উপরের ছবিটি সাংগ্রাই উৎসবের৷

চাকমাদের বিজু

বাংলা বছরের শেষ দু’দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন এই উৎসব হয়৷ অনুষ্ঠানের প্রথম দিন ‘ফুল বিজু’ নামে পরিচিত৷ এই দিন ভোরে পানিতে ফুল ভাসানো হয়৷ তরুণ-তরুণীরা পাড়ার বৃদ্ধদের গোসল করিয়ে দেয়৷ তবে বিজু উৎসবের মূল দিন নববর্ষের প্রথম দিন৷ চাকমা ভাষায় এই দিনটির নাম গজ্জ্যেপজ্জ্যে, অর্থাৎ গড়াগড়ি খাওয়ার দিন৷ এই দিন ভালো খাবার রান্না করা হয়৷ কারণ মনে করা হয়, বছরের প্রথম দিন ভালো রান্না করলে বছরজুড়ে অভাব থাকবে না৷

আরো পড়ুনঃ  (১০০% নির্ভুল) ৭ম শ্রেণির গনিত অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ (১ম সপ্তাহ) সমাধান

মারমাদের সাংগ্রাই

পার্বত্য চট্টগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী গোষ্ঠী মারমারা পহেলা বৈশাখে নববর্ষ উদযাপন করলেও বাংলা পঞ্জিকা অনুসরণ করে না৷ তারা বর্মীপঞ্জি, অর্থাৎ বার্মা মিয়ানমারের ক্যালেন্ডার মেনে চলে৷ সাংগ্রাই উৎসবের মূল আকর্ষণ ‘রিলং পোয়েহ্’৷ এটি পানি ছো়ড়াছুড়ির খেলা৷ মারমা তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দেয়৷ তাঁদের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে অতীতের সকল দুঃখ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যায়৷

ত্রিপুরাদের বৈসুক

চাকমাদের বিজুর মতো এই উৎসবও তিনদিনের৷ নববর্ষের প্রথম দিন বয়স্করা ছোটদের আশীর্বাদ করেন৷ আর কিশোরীরা কলসি কাঁখে নিয়ে বয়স্কদের খুঁজে খুঁজে গোসল করায়৷ তরুণ-তরুণীরা রং খেলায় মেতে ওঠে৷ একজন আরেকজনকে রং ছিটিয়ে রঙিন করে দিয়ে গোসল করে আবারো আনন্দে মেতে ওঠে৷

তঞ্চঙ্গ্যাদের বৈসুক

তঞ্চঙ্গ্যাদের বর্ষবরণ অনেকটা চাকমাদের মতোই৷ উৎসবের প্রথম দিন মেয়েরা ফুল সংগ্রহ করে ঘর সাজায়৷ পরদিন সবাই গোসল করে নতুন জামা-কাপড় পরে আনন্দ-ফূর্তি করে৷ ঘরে ঘরে ঐতিহ্যবাহী খাবার আর পিঠার আয়োজন করা হয়৷ রাতে ‘ঘিলা’ নামের এক খেলায় মেতে ওঠে সবাই৷ আর নববর্ষের দিন তরুণ-তরুণীরা বয়স্কদের গোসল করায়৷

মুরংদের চাংক্রান

মূল উৎসবের দিন মুরংরা বাঁশি বাজিয়ে ‘পুষ্প নৃত্য’ করতে করতে মন্দির প্রদক্ষিণ করে৷ ম্রো সমাজে লাঠি খেলা খুবই জনপ্রিয়৷ তাই চাংক্রানের মূল দিনে তারা এই খেলা খেলে থাকে৷

কারাম উৎসব

সমতলের আদিবাসীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ‘কারাম উৎসব’ বা ‘ডাল পূজা’৷ ওঁরাও, সাঁওতাল, মালো, মুন্ডা, মাহাতো, ভুইমালি, মাহলীসহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ একসঙ্গে এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে৷ এই আদিবাসীরা ‘কারাম’ নামক একটি গাছের ডালকে পূজা করেন বলে এই উৎসবের আরেক নাম ‘ডাল পূজা’৷

সাঁওতালদের সহরায় উৎসব

আদিবাসী সাঁওতালদের কাছে গৃহপালিত গরু, মহিষের গুরুত্ব অনেক৷ সহরায় উৎসবে এসব প্রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়৷ উৎসবকে ঘিরে বিবাহিত মেয়েরা তাদের বাবার বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পান৷ কারণ উৎসবে তাদের আমন্ত্রণ জানানো একটি রেওয়াজ৷ এই পরবের নির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ নেই৷ গ্রামের মোড়লদের নিয়ে সভা করে উৎসবের দিন ঠিক করা হয়৷

আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি ভূগোল ১ম প্রশ্ন সমাধান বরিশাল বোর্ড ২০২২ [১০০% নির্ভুল সমাধান]

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *