(১০০% নির্ভুল) ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ (২য় সপ্তাহ) সমাধান
|

ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ (২য় সপ্তাহ) সমাধান (১০০% নির্ভুল)

আপনি কি ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্নের সমাধান খুঁজছেন? তবে আমি বলব যে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আপনাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে।

সুতরাং এখনই আপনাদের এসাইনমেন্ট তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান ও ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি এসাইনমেন্ট দেখুন। ষষ্ঠ শ্রেণির সাধারন গনিত এসাইনমেন্ট সমাধান ডাউনলোড করুন। ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ দেখে নিন। ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট ইংরেজি ২০২২ দেখুন।

ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন

বিভিন্ন সপ্তাহে ষষ্ঠ শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।

ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। এবং অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। তাই আপনাদের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণীর দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এখানে দেওয়া হয়েছে।

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ 

বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ এবং প্রতিরােধ আন্দোলন

শিখনফল/বিষয়বস্তু :

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করতে এইখানে ক্লিক করে স্টার বাটন প্রেস করুন।

  • বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে,
  • মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি কীভাবে প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিল তা বর্ণনা করতে পারবে।,

নির্দেশনা :  

  • ক) প্রতিবেদনের বিষয়ের আলােকে ভূমিকা লিখতে হবে,
  • খ) বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ বর্ণনা করতে হবে,
  • গ) প্রতিরােধ আন্দোলনের উপায় বর্ণনা করতে হবে,

এসাইনমেন্টের উত্তর এখান থেকে শুরুঃ…….

ক) প্রতিবেদনের বিষয়ের আলােকে ভূমিকা লিখতে হবে,

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয়েছিল, কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম যুগ – যুগ ধরে চলে এসেছিল। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহিদের রক্ত ও অসংখ্য মা – বােনের সম্ত্রমের বিনিময়ে এর সমাপ্তি ঘটে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে। এ দিন পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একদিকে যেমন করুণ শােকাবহ লােমহর্ষক অন্যদিকে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত ও বীরত্বপূর্ণ।

আরো পড়ুনঃ  এসএসসি রসায়ন প্রশ্ন সমাধান রাজশাহী বোর্ড ২০২২ [১০০% নির্ভুল সমাধান]

খ) বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার কারণ বর্ণনা করতে হবে

বৈষম্যদূর : পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা পশ্চিমের চেয়ে বেশি হওয়া স্বত্বেও সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দে বৈষম্য ছিল পাহাড় সমান। পাকিস্তানের | প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (১৯৫০-৫৫) কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়ন বরাদ্দের মাত্র ২০ শতাংশ পেয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান। তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় (১৯৬৫-৭০) সেই বরাদ্দ বাড়লেও তা হয়েছিল ৩৬ শতাংশ | এক হিসাবে ২৫ বছরে পূর্ব থেকে পশ্চিমে পাচার এই টাকার পরিমাণ ছিল ২৬০ কোটি ডলার এছাড়াও আরও অনেক বৈষম্য বিরাজমান ছিল যা লিখে শেষ করার মত নয়।

দেশকে শােষকের হাত থেকে রক্ষা করা: পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আর্থ – সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে চরম শােষণের শিকার হতে থাকে। এমনকি তারা আমাদের মুখের ভাষা বাংলাকেও কেড়ে | নেয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে শতকরা ৫৬ জনের মাতৃভাষা বাংলাকে উপেক্ষা করে পাকিস্তানি শতকরা ৭ ভাগ লােকের ভাষা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘােষণা করে। এ দেশের ছাত্র – জনতা তা মেনে নেয়নি | প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পূর্ববাংলার আপামর জনসাধারণ। এই অশুভ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বাঙালিরা সজাগ ছিল বলেই ক্রমাগতভাবে একটা প্রতিরােধ গড়ে ওঠে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে পরবর্তীকালে এই প্রতিরােধই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা- -সংগ্রামে রূপান্তরিত হয়।

দেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্ত করা: ২৫ শে মার্চ রাতে ইয়াহিয়া ঢাকা ত্যাগের পর পাকিস্তান পৌঁছানাের আগেই ঢাকায় গণহত্যা শরু হয়। আর সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় বাঙালির নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিভতানে। কিন্তু তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ২৬ শে মার্চ রাতের শুরুতেই ওয়্যারলেস বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে যান তিনি। আর আগে ৭ ই মার্চের ভাষণেই তিনি বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বলেছিলেন, যার যা আছে তা নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে।

আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা ১ম পত্র প্রশ্ন ঢাকা বোর্ড ২০২১

হানাদার বাহিনীর অন্যায় ও দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষা করা: ১৯৭১ সালের এই ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) মানুষের ওপর ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞ চালায় পকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই ভয়াবহ ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করে বাঙালি জাতি। এই রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট’র নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে বিশ্বের ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা মেতে উঠে। অপারেশন সার্চ লাইট ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। পােড়া মাটি নীতি নিয়ে নেমেছিলাে পকিস্তানি ঘাতকরা।

গ) প্রতিরােধ আন্দোলনের উপায় বর্ণনা করতে হবে

মুক্তিযুদ্ধে প্রতিরােধ আন্দোলনের ৪ টি উপায় নিচে তুলে ধরা হলাে : গেরিলা যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিরােধ: ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই গেরিলাদের অবদান ছিল অনেক বেশি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যখন মূল সড়ক, জাহাজ ও শহরে আন্তানা গাড়ত, তখন গেরিলারা অস্ত্র আর গ্রেনেড হাতে লুকিয়ে থাকত নৌকার ছইয়ের ভেতর রাতের আঁধারে মাইন নিয়ে সাঁতরে গিয়ে সেটা লাগিয়ে দিয়ে আসত পাকিস্তানিদের জাহাজে। অতর্কিত হামলা চালিয়ে উড়িয়ে দিত ব্রিজ , রেলপথ। দেখা গেল মাত্র চার পাঁচজন গেরিলা যােদ্ধার ভয়েই ৩টস্থ থাক৩ গােটা একটা সেনাবহর বিভিন্ন ।

আঞ্চলিক বাহিনীর মাধ্যমে প্রতিরােধঃ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশের অভ্যন্তরে বেশকিছু বাহিনী গঠিত হয়েছিল সম্পূর্ণ ব্যক্তি প্রচেষ্টায়। আঞ্চলিক এসব বাহিনীগুলাে যুদ্ধের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দেশের মধ্যে অবস্থান করেই পাকিস্তানি বাহিনী ও এ দেশীয় দালালদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রতিরােধ গড়ে তুলেছিল। যেমন- কাদেরিয়া বাহিনী , বাতেন বাহিনী আফসার বাহিনী , হেমায়েত বাহিনী, হালিম বাহিনী প্রমুখ। তিনি বলছেন, এসব বাহিনীর অবদান যথার্থভাবে মুক্তি যুদ্ধের ইতিখসে স্থান পায়নি।

আকাশপথে প্রতিরােধঃ মুক্তিযােদ্ধারা স্থল , জলপথের পাশাপাশি প্রচণ্ড আক্রমণ করে ইস্যুতে। অন্যদিকে বেহাল অবস্থা দেখে পূর্ব পাকিস্তান – এর পুতুল শাসক গভর্নর ডা. মালিক দেশবাসীর কাছে। সাহায্যের আবেদন জানায়। বাংলাদেশ ও ভারতীয় বিমান বাহিনী মূলত ৩ ডিসেম্বর রাত ১ টায় বিমান হামলা শুরু করে। কিন্তু ৫ ডিসেম্বর সেটা বিধ্বংসী আকার ধারণ করে। বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনীর অধিকাংশ বিমান ধ্বংস করা হয়।

আরো পড়ুনঃ  দিনাজপুর কোন কলেজে ভর্তি হতে কত পয়েন্ট লাগবে ২০২২-২০২৩

মিত্র বাহিনীর প্রতিরােধঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ২১ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী এবং ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী গঠন করা হয়। তারপর ৬ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। এর ফলে বাংলাদেশের বিজয় ত্বরান্বিত হয়। উপসংহারঃ পরিশেষে বলতে পারি অনেক ত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছে আমাদের দেশের স্বাধীনতা। তাই এই স্বাধীনতা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।

বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার সারগো আইটি-এর নয়।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *