নবম (৯ম) শ্রেণীর বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

Education
9 Min Read

৯ম (নবম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ | ২য় সপ্তাহ প্রিয় শিক্ষার্থী আপনি যদি ৯ম (নবম) শ্রেণির ২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ সন্ধান করছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন। Class 9 Bangladesh & Global Studies assignment answer 2022 2nd week. ৯ম শ্রেণি অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ সকল বিষয়ের এসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ও সমাধান। নবম (৯ম) শ্রেণী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২। আপনাদের সবার জন্য নবম শ্রেণী বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান দেওয়া হয়েছে আজকের এই পোস্টে।

সবার সুবিধার্থে নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট এখানে দেওয়া হয়েছে। নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২০২২ সবার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় উত্তর পাবেন আমাদের পোস্টে। যারা নবম শ্রেণীতে পড়েন তাদের জন্য ৯ম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান অনেক প্রয়োজনীয়।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করতে এইখানে ক্লিক করে স্টার বাটন প্রেস করুন।

৯ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন

বিভিন্ন সপ্তাহে ৯ম শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই ৯ম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।

- Advertisement -

৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ)

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। এবং অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। তাই আপনাদের জন্য ৯ম শ্রেণীর দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এখানে দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুনঃ  এসএসসি (SSC) পদার্থ বিজ্ঞান ১২তম সপ্তাহের এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ

 বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

- Advertisement -

নবম (৯ম) শ্রেণীর বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২

এসাইনমেন্টের উত্তর এখান থেকে শুরুঃ…….

১। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পটভূমি ও তাৎপর্য

বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হলো ভাষা আন্দোলন। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের মাধ্যমে ভারতবর্ষ ভাগের পর পাকিস্তান অংশের সাথে বাংলাকে যক্তু করা হয়। তার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে এদেশের নাম রাখ হয় পূর্ব পাকিস্তান। সমস্ত পাকিস্তানের জনগণের সংখ্যাগরিষ্ঠের (শতকরা ৫৬ ভাগ) ভাষা ছিলো বাংলা। কিন্তু তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার নীল নকশার ষড়যন্ত্র শুরু করে। আর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন সময় উর্দুকে সমগ্র পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়। তবে এদেশের সমগ্র জনগোষ্ঠী তাদের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে এবং তিব্রাদমুখর হয়ে উঠে। অবশেষে ১৯৫২ সালের এদেশের ছাত্রশিক্ষক এবং জনতার সাথে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর পাকিস্তান সরকার বাঙালিদের দাবী মানতে বাধ্য হয়। ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্রে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভাষা আন্দোলনের এ ঘটনার মাধ্যমে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালিরা ঐক্যবদ্ধ হয়।

- Advertisement -

২। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন

১৯৫৪ সালের নির্বাচন বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের হীন ষড়যন্ত্র চরিতার্থ করার লক্ষ্যে আথর্- সামাজিকসহ সকল ক্ষেত্রে শোষণ শুরু করে। কিন্তু এদেশের বাঙালি নেতৃবৃন্দ তাদের শোষণের ছক বুঝতে পেরে রাজনৈতিকভাবে আরও সচেতন ও প্রতিবাদী হয়ে উঠেন। অতপর ১৯৩৫ সালের ভোটার তালিকার ভিত্তিতে ১৯৫৪ সালের মার্চ মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের সাথে বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আওয়ামী মুসলিম লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম, গণতন্ত্রী দল এবং খিলাফতে রব্বানি পার্টির সমন্বয় গঠিত যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। এই নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট ৩০৯ আসনের মধ্যে ২২৮ টি আসন লাভ করে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলে বোঝা যায় বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনা কতটা সুদৃঢ় ছিল।

আরো পড়ুনঃ  এইচএসসি বাংলা ২য় প্রশ্ন সমাধান সিলেট বোর্ড ২০২২ [১০০% নির্ভুল সমাধান]

৩। ঐতিহাসিক ছয় দফার গুরুত্ব

পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কতৃর্ক বাঙালি জনগোষ্ঠীর উপর শোষণ নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং এদেশের মানুষকে সমস্ত প্রকার বৈষম্যের হাত থেকে মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধুৃশেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে ৬ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এই দাবি উত্থাপনের মাধ্যমে বাঙালি জাতি পাকিস্তানী শোষণের পক্র ৃত মাত্রা বুঝতে পারে এবং নিজেদের স্বার্থের ব্যাপারে আরও সচেতন ও সোচ্চার হয়ে উঠে। ৬ দফা কর্মসূচির মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশের সকল রসদ বিদ্যমান ছিল। ১৯৭০ সালের জাতীয় নির্বাচনে এর বাস্তবে প্রতিফলন ঘটেছিল।

৪। ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাঙালিদের জাতীয় জীবনে এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ লক্ষ জনতার স্বতঃস্ফুর্তসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উদ্দেশে এক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। ইতিহাস খ্যাত এ ভাষণই ৭ মার্চের ভাষণ। ২ মার্চথেকে বঙ্গবন্ধুর আহবানে সারা পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক অসহযোগ চলছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্য এ ছিলো অন্তিম মুহূর্ত।

অন্যদিকে স্বাধীনতার চেতনায় প্রদীপ্ত বাঙালি জাতির জন্য এ ভাষণ ছিল পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের নাগপাশ ছিন্ন করে জাতীয় মুক্তি বা কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে চূড়ান্তসংগ্রামের সূচনা।

- Advertisement -

মাত্র ১৮ মিনিটের এক ভাষণ। বঙ্গবন্ধু তাঁর সংক্ষিপ্ত অথচ তেজস্বী ভাষণে পাকিস্তানের ২৪ বছরের রাজনীতি ও বাঙালিদের বঞ্চনা করার ইতিহাস ব্যাখ্যা, পাকিস্তান রাষ্ট্রের সঙ্গে বাঙালিদের দ্বন্দ্বের স্বরূপ উপস্থাপন, অসহযোগ আন্দোলনের পটভূমি বিশ্লেষণ ও বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা, সারা বাংলায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ, প্রতিরোধ সংগ্রাম শেষাবধি মুক্তিযুদ্ধে রূপ নেয়ার ইঙ্গিত, শত্রুর মোকাবেলায় গেরিলা যুদ্ধের কৌশল অবলম্বন, যে কোন উ¯কানির মুখে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার পরামর্শদান ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরার পর ঘোষণা করেন:

“ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোল। তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শক্রর মোকাবেলা করতে হবে। রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব, ইনশাআল্লাহ। …. এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল একজন দক্ষ কৌসুলির সুনিপুন বক্তব্য উপস্থাপন। বিশেষত ভাষণের শেষ পর্যায়ে তিনি ‘স্বাধীনতার’ কথা এমনভাবে উচ্চারণ করেন যাতে ঘোষণার কিছু বাকিও থাকলো না, আবার তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণার অভিযোগ উত্থাপন করাও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর জন্য আদৌ সহজ ছিল না। মনে করা যায় বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় সরাসরি ভাবে তা ঘোষণা না করে তিনি কৌশলের আশ্রয় গ্রহণ করেন।

আরো পড়ুনঃ  এসএসসি কৃষি শিক্ষা প্রশ্ন সমাধান যশোর বোর্ড ২০২২ [১০০% নির্ভুল সমাধান]

- Advertisement -

বাস্তবে ২৫ মার্চ, ১৯৭১ রাতের বেলায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালিদের উপর অতর্কিতে বর্বর ও রক্তক্ষয়ী আক্রমন চালয়। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণায় শুরু হয় মুক্তি যুদ্ধ। ৯ মাসব্যাপী সশস্ত্রমুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বঙ্গবন্ধুর এ কৌশল বা অবস্থান বাংলাদেশ সংগ্রামের পক্ষে ইতিবাচক ফল বয়ে আনে।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, ১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার গঠনের কথা। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী তাদের কায়েমী স্বার্থে বাঙালিদের সরকার গঠনের সুযোগ দিতে কিছুতেই রাজি ছিল না। তাই নির্বাচনের ফলাফল নস্যাৎ করে নিজেদের শাসন-শোষণ অব্যাহত রাখার হীন উদ্দেশ্যে তারা ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেয়। এরই অংশ হিসেবে ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় পরিষদের অধিবেশন একতরফাভাবে স্থগিত ঘোষণা করা হয়। অপরদিকে আলাপ-আলোচনার নাম করে সময় নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে জাহাজভর্তি অস্ত্রও সৈন্য আনতে থাকে। পাকিস্তানিদের ষড়যন্ত্রবুঝতে পেরে ১ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। ২৫ মার্চ পর্যন্ততা অব্যাহত থাকে। পূর্ব বাংলায় পাকিস্তানি প্রশাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে পড়ে। অসহযোগ আন্দোলন চলাকালীন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু ঢাকার রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লক্ষ জনতার উত্তাল জনসমুদ্রে ‘মুক্তি’ ও স্বাধীনতা’র সংগ্রামের আহবান জানান। শক্রর বিরুদ্ধে তিনি ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি মূল্যবান দলিল। এটি ছিল বস্তুত বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনী সশস্ত্রআক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লে বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। ৯ মাসের সশস্র সংগ্রামের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

- Advertisement -

বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার সারগো আইটি-এর নয়।

আরো পড়ুনঃ  কিভাবে মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানবেন ২০২২

আমাদের কাজের মধ্যে কোন প্রকার ভুল ত্রুটি দেখা গেলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানান। প্রতি সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। আমাদের কাছ থেকে ন্যূনতম সাহায্য পেয়ে থাকলে আপনাদের অন্যান্য বন্ধুদের সাথে ওয়েবসাইটটিকে ফেসবুকে শেয়ার দিতে পারেন।

Share This Article
Leave a comment