অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২ | Online E Passport BD
|

অনলাইনে ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩ | Online E Passport BD

অনলাইনে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ও খরচ ২০২৩ নিয়ে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট চালু করেছে। ইতোমধ্যে প্রায় সকল জেলাতেই দেয়া হচ্ছে। দেখুন ই পাসপোর্ট কোন কোন জেলায় চালু হয়েছে

দালাল ছাড়া পাসপোর্ট করার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন

এখানে আমি অনলাইনে ই পাসপোর্ট ফরম (Bangladesh Passport Online Form) পূরন কিভাবে করবেন ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্য আপনাদের জানাব। আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পাবেন এখানে।

ই পাসপোর্ট খরচ ২০২৩

পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা, মেয়াদ ও ডেলিভারীর ধরণ অনুসারে ফি’র পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরণের পাসপোর্টের ফি’র পরিমান জানতে ক্লিক করুন- ই পাসপোর্ট ফি কত

ই পাসপোর্ট করতে কি কি লাগে

 ই পাসপোর্ট করতে কি কি কাগজ লাগে তা নিচে দেয়া হল।

  • অনলাইনে আবেদনের সারসংক্ষেপ বা সামারী – Application Summery
  • আবেদনের কপি
  • জাতীয় পরিচয়পত্র/ অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ
  • ঠিকানার প্রমাণপত্র/ ইউটিলিটি বিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পূর্ববর্তী পাসপোর্টের ফটোকপি ও অরিজিনাল পাসপোর্ট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • পেশাগত সনদের ফটোকপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
  • নাগরিক সনদ/ চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)

ই পাসপোর্ট আবেদন করার নির্দেশনাবলী

পাসপোর্ট আবেদন ফরম অনলাইনে পূরণের ক্ষেত্রে অবশ্যই নিদের্শনাবলী অনুসরণ করতে হবে। যদি কোন প্রকার ভুল করে থাকেন তার জন্য আপনাকে পরে ভোগান্তি পেতে হবে।

আমাদেরকে গুগল নিউজে ফলো করতে এইখানে ক্লিক করে স্টার বাটন প্রেস করুন।

আবেদনের ক্ষেত্রে কোন কাগজপত্র সত্যায়ন করার প্রয়োজন হবে না এবং ই-পাসপোর্ট ফরমে কোন ছবি সংযোজন এবং তা সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না। অবশ্যই জাতীয় ‍পরিচয়পত্র(NID) অথবাঅনলাইন জন্ম নিবন্ধন (BRC) সনদ অনুযায়ী, নাম, পিতা-মাতার নাম ও অন্যান্য তথ্য পূরণ করতে হবে।

আবেদনের পূর্বে অবশ্যই ই পাসপোর্ট আবেদনের নিয়ম কানুন জেনে নিন। কিভাবে আপনি নিজেই আবেদন করবেন তা ধাপে ধাপে দেখানো হল।

আরো পড়ুনঃ  বাংলাদেশ রেলওয়ে ই-টিকেটিং সিস্টেম টিকেট ক্রয়ের নিয়মাবলী (২৬/০৩/২০২২)

পড়তে পারেন ই পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগবে

অনলাইনে নতুন ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২৩

প্রথমে আপনার জেনে নিতে হবে আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সেবা প্রদান করছে কিনা। এখানে দেখে নিতে পারবেন আপনার জেলায় ই পাসপোর্ট সুবিধা রয়েছে কিনা। আঞ্চলিক ই পাসপোর্ট অফিসসমূহ

পড়ুন- -পাসপোর্টের আবেদনের জন্য যা জানা প্রয়োজন

ধাপ ১: আঞ্চলিক অফিস ও থানা নির্বাচন

ভিজিট করুর- E-passport application. আপনি নিচের মত একটি পেইজ দেখবেন।

ই পাসপোর্ট করার নিয়ম ২০২২


এখান থেকে আপনি ক্লিক করুন Directly to online Application তারপর নিচের পেইজ আসবে। এখানে আপনার জেলা ও পুলিশ থানার নাম সিলেক্ট করুন।

নতুন পাসপোর্ট করার নিয়ম

এবার আপনাকে আপনার ইমেইল ভেরিফিকেশন করতে হবে। এখানে আপনি যে ইমেইল এড্রেসটি লিখবেন সেটির পাসওয়াড যেন আপনার জানা থাকে। কারণ পাসওয়াড না জানলে আপনি সেটি ভেরিফাই করতে পারবেন না।

ইমেইলের পাসওয়াড মনে না থাকলে সেটি পরিবতন করে নিতে পারেন।

আপনার ইমেইল টি লিখুন ও নিচের রোবট ভেরিফিকেশন টিক দিয়ে Continue বাটন ক্লিক করুন।

how to apply for e passport

ধাপ ২: ইমেইল ভেরিফিকেশন

এখন পাসপোর্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিংক পাঠাবে। আপনাকে সেই লিংকে ক্লিক করে আপনার ইমেইলটি ভেরিফাই করতে হবে।

ধাপ ৩: ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন ফরম

ইমেইল ভেরিফিকেশনের পর, পুনরায় ওয়েবসাইটে লগইন করুন Login

এখানে আপনার নাম, তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র বা নম্বর দিন এবং Save and Continue তে ক্লিক করুন।

জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন কোনটি প্রয়োজন?

উল্লেখ্য যে, যদি আপনার বয়স ১৮ বছরের কম হয়ে থাকলে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে আপনি অনলাইন বা ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন।

১৮-২০ বছরের মধ্যে বয়স হলে, আপনি জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন (BRC) উভয়টির যে কোন একটি দিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ  ই পাসপোর্ট যে যে জেলায় চালু হয়েছে (সর্বশেষ আপডেট)

যদি আপনার বয়স ২০ বছরের বেশি হয়, আপনাকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর দিতে হবে। আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মাট কার্ড না পেলে, জাতীয় পরিচয়পত্র অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারেন।

অনলাইনে পাসপোর্ট করার নিয়ম

আপনার পূর্বের কোন পাসপোর্ট থাকলে Yes দিন আর না থাকলে No, I don’t have any previous/ handwritten passport.

আপনার Present Address ও Permanent Address সঠিকভাবে লিখুন। যদি বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই হয়, নিচের বক্সে টিক দিন।

এরপর আপনার পিতা মাতার নাম তাদের জাতীয় পত্র অনুসারে লিখুন। আপনার স্বামী বা স্ত্রীর নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে লিখুন।

জরুরী প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য আপনার পরিবারের বাবা, ভাই বা অন্য কারো নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিন।

এবার আপনার পাসপোর্টের ধরন, পাতা ও ডেলিভারী সাধারণ বা জরুরী বাছাই করুন।

সবশেষে আপনার সব তথ্য পূনরায় যাচাই করে আবেদন জমা দিতে  Submit বাটনে ক্লিক করুন।

ই পাসপোর্ট ফি প্রদান ও আবেদন প্রিন্ট

আপনার আবেদন করা হলে প্রিন্ট করার জন্য আপনি ২টি পৃষ্ঠা পাবেন। 1) Application Summery, 2) Online Registration Form. এগুলো আপনি প্রিন্ট করে নিতে পারেন বা পিডিএফ ফাইল হিসেবে আপনার কম্পিউটারে সেইভ করতে পারেন।

Application summery টি ১ পৃষ্ঠা ও Online Registration form টি উভয় পৃষ্ঠায় প্রিন্ট করবেন।

আপনার ই পাসপোর্টের ফি বিকাশের মাধ্যমে ঘরে বসেই কিভাবে প্রদান করবেন এখানে দেখুন Passport fee by bKash

ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম

অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদন করার পর, আবেদনটি কোন পর্যায়ে আছে তা আপনি অনলাইন থেকেই জানতে পারবেন।

অনলাইনে পাসপোর্ট চেক করার নিয়মটি খুবই সহজ। ই পাসপোর্টের বর্তমান স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন এখানে- ই পাসপোর্ট স্ট্যাটাস চেক

কিভাবে ই পাসপোর্ট চেক করবেন এবং বিভিন্ন পাসপোর্ট স্ট্যাটাস এর অর্থ ও ব্যাখ্যা জানতে পড়ুন – পাসপোর্ট স্ট্যাটাস ডিটেলস

আরো পড়ুনঃ  ই পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম - পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে কিনা?

পাসপোর্ট ডেলিভারি স্লিপ হারিয়ে গেলে কি করবেন

পাসপোর্ট অফিসে আপনাকে যে স্লিপের ID নাম্বার দিয়েছে এটা আপনাদের মনে আছে কি? যদি আপনার পাসপোর্ট স্লিপ নাম্বার মনে থাকে তাহলে তাড়াতাড়ি করে আপনি  আপনার জেলার পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার passport ID নাম্বার নিয়ে সত্যতা যাচাই করে আপনাকে নতুন একটা ডকুমেন্ট বা স্লিপ দিবে আর এটি দিয়ে আপনি আপনার আপনার পাসপোর্টের ডেলিভারির সময় প্রয়োজন পড়বে।

এখন যদি Passport ID নাম্বার মনে না থাকে তাহলে আপনার NID card সাথে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। (তবে আপনার পাসপোর্টের স্লিপ নাম্বারে যে  ডেলিভারি তারিখ দেওয়া আছে তার একদিন পূর্বে আপনার মোবাইলে ID নাম্বার সহ একটা sms আসবে।)

ই পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়ম ২০২৩

যদি আপনার একটি এমআরপি পাসপোর্ট থাকে যার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, আপনি এটিকে রিনিউ করে ই পাসপোর্ট পেতে পারেন।

এজন্য রিনিউ করার কোন আবেদন করতে হবেনা, আপনাকে নতুনভাবে ই পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে। আবেদনের ক্ষেত্রে ID Documents অপশন থেকে শুধু মাত্র আপনার পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্টের তথ্য দিবেন।

এমআরপি থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার সুবিধা

MRP পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার বড় সুবিধা হলো, তথ্য পরিবর্তন। অর্থাৎ আপনার পূর্ববর্তী পাসপোর্টে যদি কোন তথ্যের ভুল থাকে আপনি সহজেই বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসারে সঠিক তথ্য ই পাসপোর্টে অর্ন্তভুক্ত করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অনলাইনে আবেদনে কি ই-মেইল অ্যাড্রেস পরিবর্তন করা যায় কি ?

না । অনলাইন ই-পাসপোর্ট আবেদনে ব্যবহৃত ই-মেইল পরিবর্তন করা যায় না ।
তবে নতুন ই-মেইল ব্যবহার করে নতুন ই-পাসপোর্ট আবেদন করা যায়।

অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করা যাবে কি ?

হ্যাঁ । এটা সম্ভব। ই-পাসপোর্ট অনলাইন অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করুন এবং ‘অ্যাকাউন্ট ডাটা’ সিলেকট করুন ।


নিচের বিষয়গুলি অনুসরন করুন :


⦁ এসএমএস নোটিফিকেশন অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাকক্টিভ করুন।
⦁ নতুন মোবাইল নাম্বার প্রবেশ করান, যেখানে আপনি অনলাইন আবেদনের সকল নোটিফিকেশন স্বংক্রিয়ভাবে পাবেন।


দ্রষ্টব্য : একটি মোবাইল নাম্বার শুধু একটি আবেদনই ব্যবহার করা যাবে।

আমার অনলাইন আবেদনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছি। এখন কি করা উচিত?

পাসওয়ার্ড পুনরুদ্ধারে নিম্নবর্ণিত পন্থা অবলম্বন করুন: 

⦁ অ্যাকাউন্ট সাইন ইন করুন।
⦁ “Forgot password” link এ ক্লিক করুন।
⦁ ই-মেইল অ্যাড্রেসে প্রবেশ করুন।
⦁ ই-মেইল চেক করুন। নতুন পাসওয়ার্ড প্রেরণ করা হয়েছে়ে ।

অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভেশন ই-মেইল পাইনি। আমার কি করা উচিত?

অনেক কারণে এমন হতে পারে। নিচের বিষয়গুলো লক্ষ করুন। 
স্প্যাম (spam) ফোল্ডার (folder) : মাঝে মাঝে ই-মেইল স্প্যাম ফোল্ডারে চলে যায়। সুতরাং এখানে খুঁজুন। অনেক সময় ই-মেইল অ্যাড্রেসের বানান ভুলের কারণেও এমন হতে পারে। 
অতএব অনলাইন অ্যাকাউন্টে ঢুকে সঠিক বানান যাচাই করুন।

আমি আমার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছি এবং আমার এনআইডি বা বিআরসি নম্বর দিয়ে একটি নতুন আবেদন জমা দিতে চাই -কিন্তু এটি কাজ করে না। আমি কি করতে পারি?

কোনও ই-পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন জমা দেওয়ার সাথে সাথে আপনি অনলাইন পোর্টালে অ্যাপ্লিকেশন ডেটা আর পরিবর্তন করতে পারবেন না। এমনকি যদি আপনি অ্যাকাউন্টটি মুছে ফেলেন এবং একটি নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেন । আপনার অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার পরে আপনি আপনার অ্যাপ্লিকেশন তথ্য, অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচি বা অন্যান্য তথ্য অ্যাক্সেস করতে পারবেন না।

আপনার যদি ইতিমধ্যে একটি নির্ধারিত অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময়সূচি নেওয়া থাকে তবে আপনাকে কী করতে হবে:
অ্যাপয়েন্টমেন্টের তারিখ এবং সময়টিতে দয়া করে আপনার পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করুণ। পাসপোর্টের জন্য তালিকাভুক্তির সময় আপনার আবেদনের ডেটাতে ভুলগুলি সংশোধন করা যেতে পারে। সঠিক তথ্য টি এনআইডি / বিআরসি বা পূর্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে) অথবা অন্যান্য সরকারি নথি দ্বারা প্রমাণিত হতে হবে।আপনাকে কমপক্ষে আপনার অনলাইন নিবন্ধকরণ আইডি (ওআইডি) সরবরাহ করতে হবে যা আপনাকে ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল। এই নম্বরটি দিয়ে আপনার অ্যাপ্লিকেশনটির পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়।

আপনার অ্যাপয়েন্টমেন্ট নির্ধারিত সময়সূচি নেওয়া না থেকে থাকলে আপনার কী করা দরকার:
কোনও অ্যাপ্লিকেশন মোছার পরে আপনি আর এই আবেদনের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্টের সময় নির্ধারণ করতে পারবেন না। বর্তমানে আরপিও গুলো কেবলমাত্র অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনগুলি প্রক্রিয়া করে থাকে।
আপনি কি করতে পারেন :
ক) আপনি যদি এখনও ফি প্রদান না করে থাকেন : নিবন্ধকরণ জমা দেওয়ার পরে আপনার আবেদনটির মেয়াদ ২০০ দিন পর স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেষ হয়ে যাবে। এর পরে আপনি আপনার এনআইডি বা বিআরসি দিয়ে একটি নতুন রেজিস্ট্রেশন জমা দিতে পারবেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *